মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Parama Dasgupta | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ৩১ মার্চ ২০২৫ ০০ : ৫১Soma Majumder
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিশুর জীবনে স্বাস্থ্যকর রুটিন আর শৃঙ্খলার গুরুত্ব অপরিসীম। একেবারে ছোট থেকে কীভাবে সুঅভ্যাস গড়ে তুলবেন, জানালেন ডা: জোনাকি মুখোপাধ্যায় (ক্যাম্পাস এনরিচমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি রিলেশন ডিরেক্টর, টেকনো ইন্ডিয়া)
কাদামাটি দিয়ে কিছু গড়েছেন কখনও? একতাল নরম মাটি, হাতের চাপে যাকে যেমন খুশি আকার দেওয়া যায়। শিশুরা আসলে একদম সেই কাদামাটির মতো। কোমল তো বটেই, সঙ্গে তাদের গড়েপিটে নেওয়া যায় যেমন খুশি। সঠিক যত্ন, দিশা আর কাঠামো পেলে তারাই বড় হয়ে উঠবে শক্তপোক্ত, আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে। তবে তার নেপথ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর রুটিন আর শৃঙ্খলা, যার হাত ধরে শুধু বর্তমানটাই নয়, সুন্দর হয়ে উঠবে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনও।
পথ দেখাক শৃঙ্খলা: কেউ কেউ ভাবেন শৃঙ্খলা মানেই কড়া শাসন। তা নয় কিন্তু। বরং কিছুটা নিয়মে বেঁধে, কিছুটা বুঝিয়ে ছোটদের শিখিয়ে দেওয়া আত্মনিয়ন্ত্রণ আর ভারসাম্যের গুরুত্ব। যখন তারা বুঝতে পারে প্রতিটি কাজের ফল আছে, তখনই তারা সচেতন ভাবে ভাল সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। বলা যায়, শৃঙ্খলা এক রকমের কম্পাস, যা তাদের জীবনের সঠিক পথ দেখায় আর কোনটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে শেখায়।
শৃঙ্খলার একটা বড় অংশ হল রোজকার রুটিন। দিনটা যদি আগেভাগে গোছানো থাকে, তবে বিভিন্ন কাজে সময় ভাগ করা বা দায়িত্ববোধ দুটোই শিখে ফেলা যায়। প্রতিদিন ঠিক সময়ে খাওয়া-ঘুমোনো, পড়াশোনার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় রাখা, এবং খেলা আর বিশ্রাম দুয়ের জন্যই সময় বার করা— এই নিয়মগুলো ছোটদের জীবনে স্থিরতা আর স্বস্তি নিয়ে আসে।
শৃঙ্খলা থাক খাবারে: সব মা-বাবাই চান তাঁদের সন্তান বেড়ে উঠুক এক স্বাস্থ্যকর জীবনধারায়। তাদের শুধু যে ছোটদের রোগবালাই থেকে দূরে রাখা যাবে তা নয়, শরীরও থাকবে তরতাজা। সেই স্বাস্থ্যকর রুটিনের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল পুষ্টিকর খাবারদাবার, যা স্রেফ শরীর নয়, মস্তিষ্ককেও খোরাক জোগায়। তাজা ফল, শাকসবজি, অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসও একটা শৃঙ্খলা, যা শরীরকে শক্তিশালী, সতেজ আর মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে তোলে।
জাঙ্ক ফুড হয়তো খেতে মুখরোচক, কিন্তু তা উপভোগের আনন্দ ক্ষণিকের। বরং লাগাতার, বেশি মাত্রায় চিনি বা ভাজাভুজি খাওয়া রোগ ডেকে আনতে পারে, মনোযোগ কমায় এবং এনার্জি নষ্ট করে। তার বদলে শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানো মানে তাদের উপরে নিষেধের বেড়াজাল তৈরি করে দেওয়া নয়। বরং ওদের বোঝান, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ছোটরা যখন তারা বুঝতে পারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তাদের স্কুলের পড়া, খেলাধুলা-সহ সবেতেই সহায়ক হয়ে উঠছে, তখনই তারা সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলে।
মনোযোগই চাবিকাঠি: যে কোনও কাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা ব্যস্ত জীবনে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতোই জরুরি। নিয়মিত রুটিন শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখতে শেখায়। এই একাগ্রতাই কিন্তু ভবিষ্যতে তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে। নতুন বিষয় দ্রুত শিখতে বা পরীক্ষায় ভাল ফল করতে যেমন পড়াশোনায় মনোযোগের কোনও বিকল্প নেই। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও মনোযোগ একে অন্যকে ভালভাবে শুনতে, বুঝতে আর সহানুভূতিশীল হতে শেখায়। ধৈর্য আর দৃঢ়তার হাত ধরে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। একাগ্র মানসিকতা মানেই আত্মবিশ্বাসী মানসিকতা, যা জীবনের ছোটদের প্রতিটা সুযোগ আর চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে শেখায়।
অতিরিক্ত আদরেই কাঁটা: শিশুদের আদর করা স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত আদর কিন্তু ভালর চেয়ে অনেক সময়ে তাদের ক্ষতিও করতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আদর তাদের জীবনের বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। বদলে এমন একটা ভ্রান্ত স্বস্তির ভাবনা তৈরি করে, যা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। ছোটখাটো সমস্যায় যারা বারবার সাহায্য পায়, তারা ভবিষ্যতে দৃঢ় হতে না পারার আশঙ্কাই বেশি।
আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় স্বাধীনভাবে জীবন সামলানোর ক্ষমতা থেকে। যখন শিশুদের দায়িত্ব দেওয়া হয় আর তারা নিজেদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে শেখে, তখনই তারা নিজের ওপর ভরসা রাখতে শেখে। বাবা-মায়েরা ভালোবাসা দিয়ে পথ দেখাতে পারেন, কিন্তু ভুল করতে দেওয়া আর সেই ভুল থেকে শেখার সুযোগ দেওয়া তাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই জরুরি। যে শিশু কখনও ব্যর্থ হয়নি, সে জীবনের ছোট-বড় ধাক্কাগুলো সামলাতে পারবে না।
রুটিনে বাঁধা শৃঙ্খলা: শৃঙ্খলা আর রুটিনের প্রভাব যে শুধু শৈশবেই থাকে, এমনটা নয়। পুরো জীবন জুড়েই তার কার্যকলাপ। এই মূল্যবোধ নিয়ে বড় হলে সময় ঠিকমতো কাজে লাগিয়ে জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখাটাও সহজ হয়ে যায়। মনোযোগ আর যে কোনও প্রতিকূলতায় দৃঢ় থাকতেও অসুবিধে হয়না। শুধু পড়াশোনা নয়, শৃঙ্খলা আর স্বাস্থ্যকর রুটিন শিশুদের মানসিক আর সামাজিক ভাবে সফল হওয়ার পথ খুলে দেয়। তাদের এমনভাবেই তৈরি করা হয় যাতে দৃঢ়তা আর সাহসে ভর করে তারা জীবনে এগিয়ে যেতে পারে অনেকটাই।
বাঁধা থাক, বাধা নয়: শৃঙ্খলা আর স্বাস্থ্যকর রুটিন ছোটদের আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলে না মোটেই। বরং তাদের সম্ভাবনাকে চিনে নিয়ে আরও এগিয়ে দেয় সাফল্যের দিকে। মা-বাবারা যদি পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া, একাগ্র মনোযোগ এবং আত্মনির্ভরতার গুরুত্ব বুঝিয়ে তাদের অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন, তাতেই গড়ে উঠবে আগামীর আত্মবিশ্বাসী, সুদক্ষ এবং সফল প্রজন্ম।

নানান খবর

‘আই অ্যাম নট আ রোবট’, কেন এই পরীক্ষা দিতে হয়? এক ক্লিকে কীভাবেই বা মানুষ-রোবটের মধ্যে পার্থক্য বোঝে কম্পিউটার?

আপনার দৃষ্টিশক্তি কি প্রখর? ছবিতে সন্তর্পণে লুকিয়ে রয়েছে একটি বিড়াল, দেখুন তো খুঁজে পান কি না

নাক দিয়ে সোজা পৌঁছে যায় ফুসফুসে, শরীরকে ভিতর থেকে পচিয়ে দেয় ভয়ঙ্কর ছত্রাক! কীভাবে এই মারাত্মক সংক্রমণ এড়াবেন?

ভিটামিনের অভাবেও বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি! জানেন কোন ভিটামিন কম থাকলে তিলে তিলে শেষ হয় শরীর?

জ্যান্ত মাছ খেতে ভালবাসেন? জানেন আপনার পাতে পড়ার আগে কতক্ষণ কষ্ট করতে হয় প্রাণীটিকে?

কার্ডিও নাকি ওয়েট ট্রেনিং, ওজন কমাতে কোনটা বেশি ভাল? সঠিক উত্তর জানলেই মিলবে উপকার

প্রায়ই রাতে ঘুম ভেঙে যায়? শরীর কি কোনও মারাত্মক রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে! না বুঝলেই ধেয়ে আসবে চরম বিপদ

টানা ১১ দিন দু’চোখের পাতা এক করেননি, কী অনুভূতি ছিল তাঁর, ব়্যান্ডির স্বীকারোক্তি চমকে দিয়েছিল সকলকে

রক্তদান করতে ভয় পান? কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই আর এই মহৎ কাজে কোনও বাধা থাকবে না

স্নানের জলে এই জিনিস মিশিয়ে নিলেই নিমেষে গায়েব হবে শরীরের সব ব্যথা! ভোগাবে না অনিদ্রার সমস্যাও

একলা স্বামীর দিনলিপি! স্ত্রীকে হারিয়ে কতটা একাকিত্বে ভোগেন স্বামী? হদিশ দিলেন মনস্তত্ত্বের অধ্যাপিকা নীলাঞ্জনা সান্যাল

পজিশনে 'কমফোর্ট জোন'? কোন ভঙ্গি সবচেয়ে নিরাপদ? জেনে নিন

মাসে একবার শারীরিক মিলনে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি! কতবার সঙ্গমে সুস্থ থাকে হার্ট? চমকে দেওয়া ব্যাখ্যা দিলেন ফিটনেস প্রশিক্ষক

ঘন ঘন প্রস্রাব পায়? জানেন দিনে কতবার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক? সংখ্যাই বলে দিতে পারে আপনি কতটা সুস্থ

সন্তান প্রজননই নেশা! ৯০০ শিশুর বাবা হয়ে অবশেষে অবসর 'রমণীমোহন' দিয়েগোর

নেতানিয়াহুর ইজরায়েলের হাতে রয়েছে এই গোপনাস্ত্র! একবার প্রয়োগেই ছারখার হবে ইরান?

মুঘল শাসকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী ছিল, জানলে অবাক হবেন আপনিও

এআই হবে বোকা, মানুষের হাতে রয়েছে কোন অস্ত্র

ব্যাঙ্কেই মদের ঠেক! কাজ ফেলে দেদার মদ্যপান কর্মীদের, যোগীরাজ্যের কী দশা

এসআইপি নাকি শিক্ষা-ঋণ, সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য কোনটি ভাল?

দেখে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনা, কয়েক ঘন্টায় হরিয়ানার মডেলের হত্যার রহস্য ফাঁস বিবাহিত প্রেমিকের

কড়া নাড়ছে ইংল্যান্ড সিরিজ, হঠাৎই গম্ভীরের ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এককালীন সতীর্থ

শৌচাগারে যেতে গিয়ে অ্যাসিডের আক্রমণ, ত্রিপুরায় মহিলার পরিণতি জানলে আঁতকে উঠবেন

‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’-এর শুটিংয়ে সাংঘাতিক দুর্ঘটনা! মৃত্যুর মুখোমুখি ঋষভ শেট্টি

যাঁরা শাঁখা-পলা পরেন না তাঁরা কি স্বামীর মঙ্গল চান না? মধুবনীর পোস্টে প্রশ্নের ঝড় সমাজমাধ্যমে

দেহের এই অংশটি অবিকৃত, ৫২০ মিলিয়ন বছর আগের রহস্য দেখে পাগল হলেন বিজ্ঞানীরা

ছ’শো মিটারের একটি ছোট রাস্তা, জুড়তে চলেছে সাতটি গ্রামকে, বহুদিনের স্বপ্ন পূরণে খুশি গ্রামবাসীরা

থাকবে না জীবনের খারাপ স্মৃতি, যুগান্তকারী সফলতা হাতে এল বিজ্ঞানীদের

মানুষ নাকি পণ্য বোঝার উপায় নেই, অফিস টাইমে বাইক ট্যাক্সিতে পার্সেল ডেলিভারির নামে এসব কী? জানলে চমকে যাবেন

বীরভূমে বাঘ! সভা চলাকালীন আচমকাই উঠে পড়ল অনুব্রতর ঘাড়ে, হা হয়ে গেলেন বিধায়ক বিকাশ

তাজপুরের সমুদ্রে স্নান করতে গিয়েই বিপত্তি, নিমেষে তলিয়ে গেলেন তিন পর্যটক, তারপর?

নেই হেলমেট, বাইকে মুখোমুখি জাপটে জড়িয়ে যুগল, রোম্যান্সে ঘোর বিপত্তি, হাজার হাজার টাকা জরিমানা

রাস্তার ধারে বড়া পাও থেকে কত্থক, নিজের ছন্দে কীভাবে ভারত মাতালেন কে পপ স্টার জ্যাকসন ওয়াং?

Caste Census: 'এর চেয়ে নিন্দনীয় আর কিছু হতে পারে না...'

ভারতীয় দলে বাড়ল সদস্যের সংখ্যা, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে যুক্ত হলেন তারকা পেসার

এসআইপি-তে বিনিয়োগে আগ্রহী? তাহলে জানুন কোটিপতি হওয়ার ১০X২১X১২ সূত্রটি

এমনও সম্ভব! খেলা যেন শেষই হচ্ছে না, নেদারল্যান্ডস-নেপাল ম্যাচে তৈরি হল এক অনন্য রেকর্ড